মহারাষ্ট্রের শিণ্ডে-বিজেপি সরকার বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আস্থাভোটে জিতলেও মহারাষ্ট্রের মানুষের জয় করতে পারেনি এই সরকার। টাকার জোরে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের পর প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই মঞ্চ থেকেই একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
শিব সেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সরকার ভেঙে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে শিণ্ডে-ফড়ণবিস সরকার। এদিন সেই সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “আমি বিশ্বাস করি এই সরকার বেশিদিন স্থায়ী হবে না। এটা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক সরকার।” এর পরই বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর তোপ, “নিজের ক্ষমতার অপব্য়বহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই পারে কেউ। কিন্তু এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তোমাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।” উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বরাবরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাল সম্পর্ক। সেই উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের জন্য বিজেপিকে দায়ী করলেন মমতা। বললেন, “শিব সেনার বিদ্রোহীদের টাকার জোগান দিয়েছে অসম বিজেপি।”
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস-সহ একাধিক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। এদিন সেই প্রসঙ্গেই এদিন গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়েছেন মমতা। বলেন, “কোন পরিবারতন্ত্র নিয়ে ওঁরা প্রশ্ন করে? শেখ মুজিবর রহমানের পর বাংলাদেশের দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। উনি ছাড়া আর কে নিতেন এই দায়িত্ব?” এ প্রসঙ্গে শাহপুত্র জয় শাহের বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে বসার বিষয়টিও টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, “যখন কেউ বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে বসেন তখন কেউ পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না। শুধু যারা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেন তাদের নিয়ে যত সমস্যা।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর জবাব, যুবপ্রজন্ম এগিয়ে আসবে। দেশের হাল ধরবে। সেটা কি কেউ চায় না। অভিষেককে মানুষ দু’বার জিতিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। ও রাজনীতিতে থাকলে ক্ষতি কোথায়?”
Be the first to comment