টুইটারে তৃণমূল কংগ্রেসকে আনফলো করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ তবে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলোর তালিকায় রেখেছেন ৷ কিন্তু বাদ গিয়েছে ঘাসফুল ৷ সম্প্রতি ‘কালী’ তথ্যচিত্রের পোস্টার ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ কালী প্রসঙ্গে তাঁর যে মতামত ব্যক্ত করেছেন, তা নিয়েও দলের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টিএমসি মা কালীকে নিয়ে দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।
মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে একথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় রাজ্যের শাসক দল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃণমূল সংসদ যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরণের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। যে কোনও ধর্ম সম্পর্কে এমন কোনও বক্তব্য যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে, তা তৃণমূল সমর্থন করে না বরং তৃণমূল কংগ্রেস সব ধর্মকে সমানভাবে সম্মান দেওয়ার পক্ষে। এই ধরনের যেকোনও বক্তব্যের কড়া নিন্দা করছে তৃণমূল।
মহুয়া মৈত্র একটি টুইট করে লেখেন, সব সঙ্ঘ সদস্যকে বলছি, মিথ্যে কথা বলা আপনাদের আরও ভালো হিন্দু করে তুলবে না ৷ আমি কখনও কোনও সিনেমা বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি, ধূমপান শব্দটিও ব্যবহার করিনি ৷ আপনাদের পরামর্শ দেব, আপনারা তারাপীঠে মা কালীর মন্দিরে ঘুরে আসুন ৷ সেখানে মা কালীকে কী ধরনের খাবার, পানীয় ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়, দেখে আসুন ৷ জয় মা তারা ৷ এরপর তিনি আরও একটি টুইট করে ভারতের ‘সত্যমেব জয়তে’ লেখা অশোক স্তম্ভের ছবি পোস্ট করেন ৷
লীনা মণিমেকালাই নির্মিত কালী তথ্যচিত্রের পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু দেবী কালী ধূমপান করছেন ৷ এর প্রতিবাদ চলছে দেশজুড়ে ৷ বিভিন্ন দল পরিচালকের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ তুলেছেন ৷ এর উলটো পথে হেঁটে মহুয়া মঙ্গলবার বলেন, আমার কাছে মা কালী অন্যরকম ৷ তিনি মাংস খান, সুরা পানকারী দেবী ৷
একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ সিকিমে যায়, তাহলে দেখতে পাবে সেখানকার মানুষ দেবী কালীকে হুইস্কি ভোগ দেয় ৷ কিন্তু আপনি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে, মা কালীকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দেওয়া হচ্ছে৷ তাহলে সেটা অধার্মিক আচরণ হবে ৷”
Be the first to comment