ইস্তফা দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই ইস্তফা দিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই বরিসের মন্ত্রিসভায় ডামাডোল চলছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনেরও বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তারপরেই বরিসের পদত্যাগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকে। অবশ্য সেই করোনা পর্ব থেকেই বরিসকে নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। বুধবারও তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, কিছুতেই পদত্যাগ করবেন না। তারপরই পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটে।
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের দায়িত্ব সামলাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আপাতত কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বরিসই। সবমিলিয়ে বিলেতের রাজনীতিতে চরম ডামাডোল চলছে।
সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। পরিস্থিতি জটিল করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ ও অর্থ দপ্তরের প্রধান ঋষি সুনক। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়। এপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চল্লিশ জন মন্ত্রী। সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই অবস্থা চললে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ত। ফলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না। এদিন সকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে নারাজ ছিলেন বরিস। অবশেষে দলের অন্দরের চাপে মাথা নোয়ালেন তিনি।
Be the first to comment