মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট মামলায় সোমবার অবশেষে আদালতে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্র। তবে ভিডিওগ্রাফি দেওয়া হয়নি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে সোমবার হলফনামা আকারে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সিল বন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও। তিন সপ্তাহ পর মামলার শুনানি।
গত ৪ মার্চ বারাণসী ফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে শুক্রবার বিমানে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানটি দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। দমদম বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি।
কেন এমনটা ঘটল? তার জন্য যথাযথ তদন্ত চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে চাপ দেওয়া হয় ডিজিসিএ-কে। চাপে পড়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ATC’র অনুমতি নিয়েই বিমানটি নিচে নামানো হয়েছিল। এরপর মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট বিস্তারিত রিপোর্ট চায়। তা মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল সোমবার।
বিষয়টি নিয়ে ১০ মার্চ আইনজীবী বিপ্লব চৌধুরী কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর আবেদন, ২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে এ ধরনের বিভ্রাট হয়েছিল। এবারও হল। তাই এর নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের সময় রাজ্যের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল। বিমানের ভিডিওগ্রাফি তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এটিসিকে নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। কিন্তু এখনও সেই ভিডিওগ্রাফি দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এই মামলার শুনানি আবার ৩ সপ্তাহ পর।
Be the first to comment