উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন বিরোধীদের যৌথ উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা। তাঁকে সঙ্গ দিতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা। গতকালই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এনডি-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়। শেষদিনেই মনোনয়ন জমা দিলেন আলভা। এবার শুধু ভোটভুটির অপেক্ষা। আগামী ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি হওয়ার কথা।
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মার্গারেট আলভার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা শরদ পওয়ার। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-র ডি রাজা, রাজ্য়সভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। গতকাল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মার্গারেট আলভা বলেছিলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি একটি কঠিন নির্বাচন। তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি ভয় পাচ্ছি না।’ তবে এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েই বিজয়ী প্রতীক দেখাতে দেখা যায় তাঁকে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুই প্রাক্তন রাজ্যপালের মধ্যে টক্কর হতে চলেছে। এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ৭১ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড়। তিনি বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন। গতকালই মহা সমারোহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আর এদিন বিরোধী পদপ্রার্থী ৮০ বছর বয়সী মার্গারেট আলভা জমা দিলেন মনোনয়ন। তিনি রাজস্থানের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। জোর টক্কর হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সংখ্যার নিরিখে জগদীপই এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এনডিএ জোটের বাইরে কিছু রাজনৈতিক দলও জগদীপকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেডি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আলভা বলেছেন, ‘আমাকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থনের জন্য বিরোধীদের একত্রিত হওয়া ভারতের রূপক।’ তাঁর কথায়, ‘আমরা সবাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, ভিন্ন ভাষায় কথা বলি ও ভিন্ন ধর্ম ও রীতিনীতি মেনে চলি। বৈচিত্র্য়ের মধ্যে ঐক্যই আমাদের শক্তি।’ মার্গারেট আলভা রাজস্থানের রাজ্যপাল হওয়ার পাশাপাশি গোয়া, গুজরাট ও উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন। সংসদের অভিজ্ঞতাও তাঁর রয়েছে। তিনি পাঁচ বারের সাংসদ। ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তিনি আগাগোড়া একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন। তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি সাংসদ ছিলেন। এবার উপরাষ্ট্রপতি পদটি তাঁর নামে হয় কিনা তা নির্বাচনের পরই জানা যাবে।
Be the first to comment