সংসদে ধরনা, অনশন বা বিক্ষোভের উপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বিপাকে বঙ্গ বিজেপি। অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বারবারই সংসদে সরব হতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের। এমনকী, সংসদ চত্বরে বিক্ষোভও করতে দেখা যেত তাঁদের। এবার বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন না বলে জানালেন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যেও একইরকম বিধিনিষেধ জারি হলে বিজেপিকে যে সমস্যায় পড়তে হবে, তাও স্বীকার করেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলার নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মতো ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন সুকান্ত।
সাংসদদের আচরণ ও শব্দ ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় শুধু বিরোধীরা নয়, বিপাকে পড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকেও। যে রাজ্যে দল ক্ষমতায় নেই সেখানকার সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হতেন সেই রাজ্যের সাংসদরা। বঙ্গ বিজেপির সাংসদরাও একাধিকবার অধিবেশন কক্ষের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বা গেটের সামনে বিক্ষোভে শামিল হতেন।
কিন্তু এবার বিধিনিষেধের ফলে অধিবেশনে গলা ফাটালেও বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন না বলে স্পষ্ট জানালেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে এখন বিজেপি বিরোধী দল। একই নিয়ম সেখানেও লাগু হলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে মেনে নেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভার গেটের বাইরে বিক্ষোভ বা ধরনা দেবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীন যে কোনও ইস্যুতে তাঁর শরণাপন্ন হওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন পদ্মশিবিরের নেতারা। ধনকড়ের ইস্তফার পর রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করবেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। তিনিও ধনকড়ের মতো একই ভূমিকা নেবেন বলে আশাবাদী বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর যুক্তি, বাংলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর শাসকের আক্রমণ চলছে। সেই সঙ্গে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। তার মোকাবিলা করতে রাজ্যপালের কাছে যেতেই হয়। তিনি বিরোধীদের রক্ষাকর্তা। ধনকড় সেই ভূমিকা পালন করতেন।
Be the first to comment