২১ জুলাই ধর্মতলায় শহীদ দিবসের সমাবেশ ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দিকটি বিশেষভাবে মাথায় রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অযাচিতভাবে এক ব্যক্তি ঢুকে সারা রাত কাটিয়ে দেওয়ায় তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। হাফিজুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি এখন পুলিস হেফাজতে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হচ্ছে পুলিসকে। মমতার মঞ্চে ওঠার জন্য একদম পৃথক একটি গেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই গেট দিয়ে আর কাউকে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। সেই গেট ঘিরে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।
মঙ্গলবার কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল অন্য পুলিস কর্তাদের নিয়ে ধর্মতলায় সিইএসসি ভবনের সামনে মঞ্চের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন। যদিও মঞ্চ তৈরির কাজ এখনও চলছে। কতগুলি গেট হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কোন গেট দিয়ে ঢুকবেন, তার বিস্তারিত ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন পুলিস কর্তারা। তাঁরা শাসকদলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে সিপি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাই তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার। সেইভাবেই পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণ করাও পুলিসের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাই ঘুরে দেখলেন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার জন্য প্রস্তুতি ঠিকঠাক আছে কি না। এখনও পর্যন্ত ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে প্রায় ৪০০ জন কর্মী-সমর্থক এসে পৌঁছেছেন। মূলত, তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এখানে থেকে পর্যালোচনা করছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক তাপস রায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে এসে তাঁদের সঙ্গেই সামগ্রিকভাবে এখানে কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
মূলত, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পুরুলিয়া থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিষেক জানান, প্রায় ৪০০ জনের মতো কর্মী-সমর্থক পুরুলিয়া থেকে এখানে এসেছেন। তাঁরা খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছেন। অনেক দূর থেকে এসেছেন, তাই তাঁদের বিশ্রাম প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে আর আলাদা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি অভিষেক ৷ তবে সামগ্রিকভাবে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি খোঁজ নিলেন।
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেক নেতা ধর্মতলায় যান শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে। বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, যাদবপুরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ক্যাম্প করা হয়েছে। দূরের জেলাগুলি থেকে দলীয় সমর্থকরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। ক্যাম্পগুলিতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
Be the first to comment