স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার রুম খোলার জন্য আদালতে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। সরকার পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার আদালতে বলেন, সার্ভার রুম না খোলায় নতুন নিয়োগ আটকে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। তিনি বলেন, নিয়োগ নিয়ে শেষে আমি কিছু বলব। তখন আসল তথ্য সামনে আনব। আমি মুখ খুললে পুরো বিষয়টি ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে যাবে। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন কল্যাণ বলেন, নিয়োগ নিয়ে আমি পরে আইনি ব্যাখ্যা দেব। নিয়োগ বিতর্কের পিছনে কী রহস্য আছে, আদালত তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমিও সব জানি। আমি সই দেখেছি। কার সই, তাও জানি। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে আদালেতর কাছে বাগ কমিটির রিপোর্ট চাওয়া হয়। সিবিআই তা প্রকাশ্যে আনতে আপত্তি জানায়। সিবিআই আইনজীবীর বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থেই ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা ঠিক হবে না।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন আগেই। তাঁর আরও নির্দেশ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার রুম সিবিআই হেফাজতে থাকবে। নির্দেশ দেওয়ার পর কয়েকদিন কমিশনের অফিসে ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জনা পাঁচেক কর্তা ছাড়া কেউ অফিসে ঢুকতে পারবেন না। সিআইএসএফ পাহারা বসেছিল আদালতের নির্দেশে। সার্ভার রুমও সিবিআই পাহারায় রাখা হয়।
বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, সার্ভার রুম না খোলায় নতুন নিয়োগ বাধা পাচ্ছে। আগেও একই কথা জানিয়েছিল সরকার। তখন শর্ত সাপেক্ষে সার্ভার রুম খোলার কথা জানায় আদালত। তবে এদিন আলোড়ন পড়ে আইনজীবী কল্যাণের মন্তব্যে। পরবর্তী শুনানির দিন তিনি কতটা মুখ খুলবেন, তা জানার জন্য আগ্রহী সকলে।
Be the first to comment