বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠায় সোনিয়ার ডাক পড়েছে। কাল ১০ জনপথ থেকে ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়াকে সঙ্গ দেবেন তাবড় বিরোধী নেতারা। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে হাজির থাকার কথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও রামগোপাল যাদব, সঞ্জয় ঝা প্রমুখ বিরোধী নেতার। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা হবে। কংগ্রেস এটিকে একটি মেগা ইভেন্টে পরিণত করতে চাইছে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে যখন বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরেছে, তখন সোনিয়ার ইডি অফিসে হাজিরার সময় বিরোধী নেতানেত্রীদের থাকা রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের কেউ থাকবেন না। কারণ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশও কাল। এটি তৃণমূলের কাছে বড় আবেগের বিষয়। তৃণমূলের সব নেতাই কাল হাজির থাকবেন ধর্মতলায়। যদিও ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি না থাকলেও তৃণমূল ইডি দফতর পর্যন্ত সোনিয়াকে সঙ্গ দিতেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এর আগেই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়াকে একইসঙ্গে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোনিয়া করোনায় আাক্রান্ত হওয়ায় তখন হাজিরা দিতে পারেননি। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ইডির কাছে হাজির দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চান। সেইমতো ইডি তাঁকে সময় দেয়। রাহুলকে অবশ্য পাঁচদিন ডাকা হয়। তাঁকে টানা নয়-দশ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি। যে
কদিন রাহুল হাজিরা দিয়েছেন, প্রতিদিনই কংগ্রেস নেতারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। নবীন, প্রবীণ সব বয়সের নেতারাই রাস্তায় নামেন। দিল্লি পুলিসের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়। কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে এক সভায় রাহুল বলেন, ইডির তলব ছোট্ট ঘটনা। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বিজেপির জনবিরোধী কর্মসূচির বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে। তবে রাহুলের ইডি তলবের সময় বিরোধী নেতারা পথে নামেননি। বৃহস্পতিবার তাবড় বিরোধী নেতাদের পথে নামতে দেখা যাবে।
Be the first to comment