বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল অধ্যাপকের দেহ ৷ বুধবার দুপুরে রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাটের ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় স্যমন্তক দাসের দেহ৷ তিনি যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিভাগের প্রধানের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত সহ উপাচার্য ছিলেন৷ এদিন তাঁর দেহ উদ্ধার করে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তারপরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে ৷ তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহ উপাচার্য ৷
৫৭ বছর বয়সী অধ্যাপকের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত যাদবপুরের পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকরা৷ কেন তিনি আত্মঘাতী হলেন তার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিস৷ তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, স্যমন্তক দাস বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা জানিয়েছেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগতেন৷ আজ স্যমন্তর দাস বাড়িতে ছিলেন ৷
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁকে ডাকতে গিয়েছিলেন কাজের লোক ৷ ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল৷ অনেক ডাকাডাকির পর তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি বাড়ির লোকেদের খবর দেন৷ তাঁরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় অধ্যাপককে খুঁজে পান৷ বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্কের ১৩১ এনএসসি বোস রোডের সরকারি আবাসনের ১১ নম্বর ব্লকের তিন নম্বর ফ্ল্যাটে যায় পুলিস৷ ফ্যান থেকে অধ্যাপকের দেহ নামিয়ে নিয়ে যায় বাঙ্গুর হাসপাতালে৷ সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
Be the first to comment