বরাবরই তিনি মানবদরদী হিসেবে পরিচিত। কারোর বিপদ শুনলে ছুটে যাওয়া তাঁর বহু পুরনো অভ্যেস। এবার একুশের মঞ্চে আরও একবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মানবদরদী রূপের পরিচয় মিলল। দুস্থ তৃণমূলকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোরও বার্তা দিলেন তিনি।
মাঝেমধ্যে অভিযোগ আসে, রাজ্যের কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন তৃণমূল নেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনও কর্মী যদি খেতে না পান, তাহলে আমাকে খবর দিন, আমার দু-তিন মাস সময় লাগবে। কিন্তু একটা সিস্টেম করে দেব।”
অন্যদিকে তৃণমূল সুশৃঙ্খল দল। দলের নামে কোনও অপকর্ম মেনে নেওয়া হবে না বলে একুশের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘যদি দেখেন কেউ তৃণমূলের নামে টাকা তুলছে, বদমাইসি করছে তাহলে নিজেরা তাকে ধরে থানায় নিয়ে যান।” এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের নামে তোলাবাজির প্রসঙ্গও টেনে আনেন মমতা। তাঁর কথায়, “আমি দু’টি অভিযোগ পেয়েছি। একুশের সভার আগে তৃণমূলের নামে টাকা তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। দলের নামে কোনও চাঁদা তুলবেন না। মনে রাখবেন তৃণমূল একটা সুশৃঙ্খল দল। আমাদের সদস্যপদ রয়েছে। কোনও চাঁদার দরকার নেই। দলের নির্দেশ মেনে চলুন।”
দলের কর্মীদের জনসংযোগে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, আমি চাই কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে-গ্রামে ঘুরবে। সাংসদরা প্রয়োজনে রিক্সা করে ঘুরবে। মানুষের কাছে যাবে। চায়ের দোকানে বসবেন। দরকারে একজনকে চা খাওয়াবেন কর্মীরা। কিন্তু চায়ের দোকানের টাকায় চা খাবেন না। মনে রাখবেন ওঁরাও গরিব লোক। এমন অভিযোগ যেন না পাই।”
উল্লেখ্য, শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলারক্ষার কড়া বার্তা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ বার্তা, “তৃণমূল মানুষের জন্য। তৃণমূল নিজেদের করে খাওয়ার জায়গা নয়।”
Be the first to comment