শুক্রবারের সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল ‘ডামাডোল’। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামে ইডি। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় অভিযান। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতেও যায় তারা। পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। দিনভর এই নিয়ে টান টান উত্তেজনা। এরইমধ্যে সন্ধ্যায় ইডির একটি টুইটে শোরগোল পড়ে যায় শহরজুড়ে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক তরুণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২০ কোটি টাকার বেশি নগদ। হরিদেবপুরের একটি আবাসন থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয়। সূত্রের দাবি, এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
সূত্রের দাবি, শুক্রবার সকাল থেকেই অর্পিতার হরিদেবপুরের আবাসনে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে নগদে ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। প্রায় বলা হচ্ছে, কারণ, এত নগদ উদ্ধার হওয়ায় তা একসঙ্গে এখনও গুনে উঠতেই পারেননি তদন্তকারীরা। সঙ্গে প্রচুর মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
কে এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? জানা গিয়েছে, তিনি মডেলিং করেন। নাকতলা উদয়ন সংঘ, যে পুজো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো হিসাবেই পরিচিত, সেই পুজোর মডেল-মুখও এই অর্পিতা বলেই জানা গিয়েছে। একটি ব্যানারে তাঁর ছবিও রয়েছে। যদিও এগুলো সবই প্রাথমিকভাবে তদন্তে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে নাকতলার পুজোর সঙ্গেও জড়ান তিনি। তবে এসএসসির তদন্তে নেমে কেন অর্পিতার বিলাসবহুল আবাসনে গেল ইডি, কেনই বা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে এত বিপুল নগদ টাকা উঠে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই অর্পিতাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা তথ্য উঠে আসছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। সূত্রের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে এই অর্পিতাকে নিয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সে সময় ওই সাংসদ পদপ্রার্থী তাতে আপত্তি তোলেন। এরপর পার্থবাবু আর ওই প্রার্থীর হয়ে প্রচারই করেননি বলেও দাবি সূত্রের।
Be the first to comment