পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিধানসভায় বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্মদিবসের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমান বাবু বলেন, যদি কেউ গ্রেফতার হয়, তাহলে বিধানসভার ক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকার ও লোকসভার ক্ষেত্রে লোকসভার স্পিকারকে জানাতে হয়। এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব। আইনে বলা আছে।
তবে গ্রেফতারি সংক্রান্ত কোনও কিছু বিধানসভার কাছে এসেছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও জানেন না বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আমি বলতে পারব না এসেছে কি না। আমাকে অফিসে গিয়ে দেখতে হবে এসেছে কি না। আসা তো উচিত। নাহলে এটি সাংবিধানিক ব্যর্থতা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্যের পরিষদীয় দফতরের মন্ত্রী। তাঁর গ্রেফতারির পর পরিষদীয় কাজ সামলাতে কিছুটা সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার অধ্যক্ষ এদিন জানান, এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তদন্ত চলছে। তদন্তে কী বেরোবে, সেটি যাঁরা তদন্ত করছেন তাঁরাই বলতে পারবেন। তবে এই কথাটি ঠিক পরিষদীয় কাজে কিছুটা হয়তো আমাদের অসুবিধা হবে প্রাথমিক পর্বে। তারপর মন্ত্রিসভাতে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত হবে এই বিষয়ে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের মোট ১৪ জায়গায় প্রায় একসঙ্গে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পৃথক পৃথক দল। শুক্রবার রাতেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলার বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। ২০০০ টাকা আর ৫০০ টাকার নোটের গাদা পাওয়া যায় তাঁর বাড়ি থেকে।
ইডির তরফে দাবি করা হয়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতেও শুক্রবার থেকে বসে ছিলেন ইডির অফিসাররা। রাতভর সেখানে থাকার পর শনিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা। শাসক দলের হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
Be the first to comment