গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জানালেন, নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। পাইনি। রাতভর নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে থাকার পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা। মাঝে শারীরিক অসুস্থতাও বোধ করছিলেন। চিকিৎসকরাও গিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই বিস্ফোরক তৃণমূল মহাসচিব। বললেন, নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পান নি।
উল্লেখ্য, যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, সেই মহিলা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করছে ইডি। সেই টাকা উদ্ধারের পর থেকেই বিরোধী শিবির একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিল রাজ্যের শাসক শিবিরকে। আর তখনই কৌশলী অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল শিবিরকে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার রাতেই একটি টুইটে জানিয়েছিলেন, ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি প্রত্যেক শিবিরেরও আক্রমণের নিশানায় এখন তৃণমূল শিবির।
এদিকে গত মাসেই বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতার অভিযোগের তির ছিল ‘সিপিএম-এর কিছু অফিসারদের’ দিকে। শনিবার যখন চারিদিক থেকে ইডির অফিসারদের চাপের মধ্যে রয়েছেন, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন নেত্রীর সঙ্গে। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি। শনিবার সাংবাদিকরা যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে পার্থ বাবু বলেন, যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পাইনি।
Be the first to comment