শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই শনিবার সন্ধ্যায় ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হল। এদিন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অর্পিতা বলেন, আমি কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপির চাল। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই হবে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
শনিবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সিজিও কমপ্লেক্স যাওয়ার পথে গাড়ি ঘুরিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। জানা গিয়েছে, শরীর খারাপ বলে জানিয়েছিলেন পার্থ। তাই হাসপাতালের পথে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে অন্তত ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। ইডির দাবি, অর্পিতা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তদন্তকারীদের আরও দাবি, ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা ও বিদেশি মুদ্রাও।
শুক্রবার রাত ৮টা ১০ নাগাদ ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকার ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে।
ইডি সূত্রে দাবি, টালিগঞ্জের কাছে হরিদেবপুরের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২১ কোটি নগদ টাকা। অর্পিতার বাড়িতে চারটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে ওই মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধার হওয়া অর্থ গোনা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
Be the first to comment