ক্রমেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই পার্থর অবস্থানে যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দল তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এদিকে ইতিমধ্যেই ইডি-র অ্যারেস্ট মেমোতে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। যা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সূত্রের খবর, এর পিছনেও হাত রয়েছে পার্থর। আর সে কারণেই ক্ষোভে বেড়েছে দলের অন্দরে।
শনিবার গ্রেফতারির পর পার্থকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফোন করার অনুমতি দেয় ইডি। তখনই ইডিকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম, ফোন নম্বর দিয়ে দেন পার্থ। আর সে কারণেই ইডির মেমোতেও উঠে আসে মমতার নাম। আর তাতেই ক্ষোভ বেড়েছে দলের অন্দরে।
সূত্রের খবর, ইডির অনুমতি পাওয়ার পর শনিবার টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন পার্থ। কিন্তু ফোনে পাননি মমতাকে। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পার্থ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে একদিন আগে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তবেই দলগতভাবে ও সরকারিভাবে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু, মাত্র একদিনের ব্যবধানে বদলে যায় এই অবস্থান। তৃণমূলের তরফে জানানো হয় আদালতে পার্থর দোষের পক্ষে কোনও গ্রহণযোগ্য প্রামাণ্য নথি জমা পড়লেই ব্যবস্থা নেবে দল। বর্তমানে তা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে পার্থ ইস্যুতে শনিবারের পর রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আদালতে যদি তদন্তকারীরা এমন কোনও তথ্য দেন, আদালত সেই তথ্য প্রমাণকে যদি মান্যতা দেয়, তাহলে যত বড় নেতাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস নিশ্চিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আমরা টাইম বাউন্ড ইনভেস্টিগেশন দাবি করছি। সারদা-নারদার মতো তদন্ত, চলছে তো চলছেই, এমনটা যেন না হয়।
সূত্রের খবর, অন্যদিকে ইতিমধ্যেই পার্থর বহিষ্কারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সূত্রের খবর, পার্থর মহিলা সঙ্গ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment