একবিংশ শতাব্দী হবে ভারতেরই নামে, বিদায়বেলায় বার্তা রামনাথ কোবিন্দের

Spread the love

ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর শেষ দিন ছিল রবিবার। বিদায় বেলায় রামনাথ কোবিন্দ জানালেন, দেশবাসীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তাঁর সময়কালে প্রত্যেকের কাছ থেকেই সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাঁর বার্তা, একুশ শতকে প্রধান হয়ে উঠবে ভারত। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, প্রতিবাদ করা প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তা গান্ধীবাদী মতাদর্শ মেনে করা উচিত। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।

দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্ম। আগামী সোমবার শপথ নেবেন তিনি। তার আগে শনিবার সংসদে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তারপরে রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

সেই সঙ্গে তুলে ধরেছেন তাঁর ছাত্র জীবনের কথাও। খুব সাধারণ বাড়ি থেকে তাঁর উত্থান। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেছেন, মানুষের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা খুবই প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কানপুরে নিজের স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের প্রণাম করেছিলেন কোবিন্দ। সেই অভিজ্ঞতাকে “আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন” বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন,”আগামী প্রজন্মকে অনুরোধ করব, তারা যেন স্কুল এবং নিজের গ্রামের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকে। এটাই ভারতের সংস্কৃতি।”

রাজনৈতিক দলগুলিকে সংকীর্ণ রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে জাতির জনক গান্ধীজীর আদর্শ উল্লেখ করে কোবিন্দ বলেছেন, “প্রতিবাদের অধিকার আছে সকলেরই। আমাদের জাতির জনকও সত্যাগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর উলটো দিকে থাকা মানুষের কথাও চিন্তা করেছিলেন তিনি। নিজেদের দাবি আদায় করার জন্য নাগরিকরা অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন, কিন্তু তা যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে করা হয়।”

কোবিন্দের মতে, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির ফলে আরও অনেক এগিয়ে যাবে দেশ। তিনি বলেছেন, “দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুবসমাজকে যুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা নেবে জাতীয় শিক্ষা নীতি। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, একুশ শতক হবে ভারতেরই নামে।”তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে প্রাকৃতিক অবস্থার কথাও। তিনি বলেছেন, “আমাদের আগামী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে পরিবেশের যত্ন নেওয়া উচিত। তা না হলে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।” 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*