সোমবার সকাল ৮.২৯ মিনিট। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। ৯.৪৫ মিনিটে ভুবনেশ্বরে পৌঁছানোর কথা ছিল তাঁর। নির্ধারিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে সকাল ১০.০৫ মিনিট নাগাদ ভুবনেশ্বরে পৌঁছন তাঁরা। বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড় করানো ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এইমসে নিয়ে যাওয়া হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গী আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত, এসএসকেএমের চিকিৎসকরা বাসে কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর আসেন।
এরপর সকাল ১০.০৯ মিনিটে বিমানবন্দরের রানওয়ের নীল রঙা গেট খুলে যায়। তার বাইরে দাঁড় করানো ছিল এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স। হুইলচেয়ারে বসে আসেন পার্থ। আকাশি পাঞ্জাবি আর পাজামা, হুইল চেয়ারে কার্যত শরীর ছেড়ে দিয়ে বসে ছিলেন তিনি। দৃশ্যতই তাঁকে ভীষণ বিধ্বস্ত লাগছিল। ঘাড় বাঁ দিকে কাত করে রেখেছিলেন। পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই তাঁকে বুকে হাত দিতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে বারবার হাত দিয়ে বুকে ব্যথা বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি।
এরপর হুইলচেয়ার ছেড়ে হেঁটেই তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন। তারপর তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে বসে থাকতেই দেখা যায়। তাঁর জন্য স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু স্ট্রেচার ব্যবহার করেননি তিনি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে কিছুটা ঠান্ডা লাগছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর গায়ে একটি চাদর জড়িয়ে দিতে দেখা যায়।
এইমস ভুবনেশ্বরকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, মেডিসিন, এন্ড্রোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে। বোর্ড পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। বিকেল ৩টের মধ্যে এইমস ভুবনেশ্বরকে পার্থর শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট দিতে হবে।
Be the first to comment