একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের আলোচনা সভা। সেখানে উপস্থিত তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কথা উঠল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। তারপরই বিস্ফোরক মন্তব্য কুণালের। বললেন যে, একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে নেবেন বলেছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বুধবার, তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত ঠিক এমনই একটি সংবাদ উস্কে দিচ্ছে পার্থর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্বের জল্পনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতানুযায়ী, তাহলে কি পার্থর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে দল?
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? জাগো বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাস্থল রাজভবন। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। দু’পক্ষের কথা চলেছে। চলেছে অভাব-অভিযোগ। ঠিক সেই সময় আচমকা মন্তব্য করেন জগদীপ ধনখড়। তৃণমূল মুখপত্রে তেমনটাই উল্লেখ রয়েছে।
রাজভবনে জগদীপ ধনখড় বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমি দেখে নেব। তৃণমূল নেতারা কিছুটা চমকে গিয়ে হঠাৎ তাঁর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন? রাজ্যপাল বললেন, রাজনীতিবিদরা আমাকে আক্রমণ করতেই পারেন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার স্ত্রী-কে আক্রমণ করেছেন। আমার স্ত্রী কোনও দিন কোনও রকম রাজনীতি নিয়ে মুখ খোলেননি। তা সত্ত্বেও কেন আক্রমণ? আমি ওনাকে ছাড়ব না।
সংবাদমাধ্যমের আলোচনা সভায় ঠিক এমনই বিস্ফোরক খবর প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষ বলেন যে, সেদিন তাঁরা প্রত্যেকে রাজ্যপালকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। ফলত, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে অতীতে হওয়া একটি আলোচনা এই সময় দাঁড়িয়ে তিনি কেন টেনে আনলেন? তাহলে কি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে পার্থর?
ইতিমধ্যেই জাগোবাংলার প্রকাশিত খবরে পার্থ আর ‘মন্ত্রী’ নন! ‘মন্ত্রী’ শব্দটি ব্যবহার না করা নিঃসন্দেহে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার যে ইঙ্গিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Be the first to comment