বৃহস্পতিবারই কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জোরালো হচ্ছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠক। এই বৈঠকেই পার্থ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা, সেই জল্পনা চলছে প্রশাসনিক স্তরে।
যদিও এটিকে রুটিন বৈঠক বলেই তুলে ধরছে প্রশাসন। এতদিন ক্যাবিনেট শেষে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত সরকারের তরফে ঘোষণা করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১১- এর পর থেকে এই প্রথম পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছাড়াই বসবে মমতার ক্যাবিনেট।
সব থেকে বড় জল্পনা এই বৈঠক থেকেই কি পার্থর হাতে থাকা দফতরের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে পার্থকে? বাদ দেওয়া হতে পারে দুর্নীতির অভিযোগে জড়ানো হেভিওয়েট মন্ত্রীকে?
রাদনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্যুটি যে দলের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বর্তমানে বিভিন্ন নেতামন্ত্রীদের কথায় স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার ‘রুটিন বৈঠক’ রয়েছে। প্রশাসনের অন্দরে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। ২০১১-২০২২ সাল, এই দীর্ঘ সময়কালের মধ্যে এই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকছেন না।
অন্যান্য সময়ে দেখা গিয়েছে, বৈঠকের পর বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সাংবাদিক বৈঠক করে জানাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। এই প্রথম কোনও বৈঠকে তিনি থাকবেন না। তাঁর দায়িত্বাধীন দফতরগুলি কি অন্য কাউকে বন্টন করা হবে? এই নিয়েও জল্পনা চলছে।
তবে বিশ্লেষকদের বক্তব্য, কাউকে সরাতে গেলে ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকার প্রয়োজন পড়ে না। এই বিষয়টি পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। কাউকে তিনি সরাতেই পারেন, বা নতুন কাউকে আহ্বান জানাতেই পারেন। এটার জন্য বৈঠকের প্রয়োজন পড়ে না। তবে সামগ্রীক পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীবারের বৈঠক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে গাড়ি ব্যবহার করতেন। সবাই সেই গাড়ি পান না। পদাধিকার বলে বিশেষ কেউই সেই গাড়ি পান। সেই গাড়িটি তিনি ইতিমধ্যেই ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আরও একটি বিষয়, বুধবার জাগো বাংলার একটি প্রতিবেদনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের আগে ‘মন্ত্রী’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়নি। গোটা পরিস্থিতি কি নতুন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে? জল্পনা তুঙ্গে।
Be the first to comment