বারবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষী যেই হোন সে শাস্তি পাবেই। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে দফায় দফায় টাকা উদ্ধারের পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কড়া সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। মন্ত্রীপদ থেকে সরানো হল তাঁকে। তৃণমূল কঠোর দল, পার্থকে অব্যাহতি দিয়েছি, অপসারণ নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর থেকেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। গত কয়েকদিনে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে নগদ টাকা ও সোনা উদ্ধার হওয়ায় ক্রমশ জোরালো হয়েছে পার্থকে অপসারণের দাবি। গ্রেপ্তারির ৬ দিনের মাথায় অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দল কঠোর। আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আপাতত ওনার দপ্তরগুলো আমার কাছে এসেছে। পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতার পথে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, বিজেপির বিক্ষোভের জেরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। দিলীপ ঘোষের কথায়, আরও আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। এতদিন সময় কেন লাগল? কীসের এত মায়া? কেন এত দেরি? একই সুর বামেদের গলাতেও।
প্রসঙ্গত, শিল্প-বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয়, চার দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, এই সব দপ্তরগুলি আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখবেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, ত্রাণ-উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, পরিকল্পনা রূপায়ণ, শিল্প বাণিজ্য, পরিষদীয় দপ্তর এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্ব এসে পড়ল।
Be the first to comment