কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অজ্ঞান অর্পিতা, সামলাতে হিমশিম খেল কেন্দ্রীয় বাহিনী

Spread the love

গত শনিবার দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। বেরনোর সময় তিনি বলেছিলেন, এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র। এর কয়েকদিন পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সিজিও কমপ্লেক্সে ফেরার সময় দেখা যায়, গাড়ির সিটে মাথা এলিয়ে দিয়েছেন অর্পিতা। তাঁর শরীরে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।

আর শুক্রবার দেখা গেল হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা। কাঁদতে কাঁদতে সংজ্ঞা হারালেন তিনি। হুইল চেয়ারে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালের ভিতরে।

শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে গাড়িতে পার্থ ও অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। পথে যখন তাঁর গাড়ির পিছনে ছুটছে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি, ভিতরে তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন অর্পিতা। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। এরপর হাসপাতালের সামনে গাড়ি পৌঁছতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। গাড়ির দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কাঁদতে কাঁদতে সিট থেকে পড়ে যান অর্পিতা। জ্ঞান হারান তিনি। কোনও ক্রমে তাঁকে তুলে হুইল চেয়ারে বসান কেন্দ্রীয় বাহিনীর মহিলা সদস্যরা। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। হুইল চেয়ারে যখন ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনও কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাঁকে।

প্রথম কয়েকদিন একই পোশাক পরতে দেখা গেলেও এ দিন ভিন্ন পোশাকে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। তাঁর পরণে ছিল গোলাপি কুর্তি, মুখে মাস্ক।

গত বুধবারও তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর ওই দিনই ইডির তল্লাশিতে মেলে আরও প্রায় ২৮ কোটি নগদ টাকা। ওই দিনই বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এর আগে টলিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল অর্পিতাকে। ইতিমধ্যে তাঁর নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছেন আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জেরার মুখে পার্থ তেমন কিছু না জানালেও ভেঙে পড়ছেন অর্পিতা। তাঁর কথা থেকেই উঠে আসছে নানা সূত্র।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*