হাসপাতালে ঢোকার সময় বলেছিলেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আর বেরনোর সময় বলে দিলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, জানতে পারবেন। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বলে দেন, মমতা ব্যানার্জির সিদ্ধান্ত ঠিক। তৃণমূল সরকার তাঁকে সমস্ত পদ থেকে সরানোর পরই পার্থর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ শারীরিক পরীক্ষার জন্য ইএসআই হাসপাতালে আলাদা আলাদা গাড়িতে পৌঁছন পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অর্পিত মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে ঢোকার সময়ই পার্থ বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
মন্ত্রিত্ব-সহ তৃণমূলের সমস্ত পদ খোয়ানোর পর এই প্রথম নীরবতা ভেঙে এ কথা বলেন তিনি। বেলা ২টো ১৫ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সেই কথার রেশ ধরেই বলে দিলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, জানতে পারবেন।
এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাকে নিয়ে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কি ঠিক? পার্থর জবাব, দলের সিদ্ধান্ত সঠিক কি না, তা সময় বলবে। এরপরই জানতে চাওয়া হয়, মন্ত্রিত্ব ও দলের অন্যান্য পদ থেকে যে পার্থকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? এর উত্তরে পার্থ বলেন, মমতা ব্যানার্জির সিদ্ধান্ত ঠিক।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়ার সাতদিন পরে উনি বলছেন ষড়যন্ত্রের কথা। সেটা ওনার ব্যাপার। উনি নিজেকে ডিফেন্ড করতেই পারেন। তবে চক্রান্ত হয়ে থাকলে আইনের পথ তো খোলা। লড়াই তো চলছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পর এ নিয়ে কোনও আমার কোনও বক্তব্য নেই।
এদিকে, হাসপাতালের সামনে পৌঁছেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতেই চাইছিলেন না তিনি। হাত ধরে নামানোর চেষ্টা করতেই গাড়ি থেকে পড়ে যান। বেরনোর সময়ও ছবিটা প্রায় একইরকম। হুইলচেয়ারে গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তখনও হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন অর্পিতা। ভাঙা গলায় বলেন, আমি আর পারছি না। এই ছবিতেই স্পষ্ট, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অর্পিতা।
Be the first to comment