নাম না করে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের কথায়, হিটলারও ভোটে জিততেন। কিন্তু কীভাবে জিততেন? জার্মানির সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নিজের দখলে রাখতেন। আমায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ দিলে আমিও দেখিয়ে দেব, কীভাবে ভোটে জিততে হয়! আমার কাজ হল আরএসএসের মতবাদকে প্রতিহত করা। আমি তাই করে যাচ্ছি। আমি যত বেশি এমনটা করব, আমাকে তত বেশি আক্রমণ করা হবে। আমাকে কেউ আক্রমণ করলে খুশি হই। আক্রমণ থেকে শিক্ষা নিই।
সরকার জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায় না বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুলের কথায়, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, অগ্নিপথ নিয়ে সরকার কথা বলতে পছন্দ করে না। সংসদেও এ নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় তারা। ৪-৫ জন মিলে সরকার চালাচ্ছে। আমজনতার স্বার্থ নয়, সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে গুটিকয় ব্যবসায়ীর স্বার্থকে। আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু চোখের সামনে দেখছি। তিল তিল করে গড়ে তোলা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সংসদে আমাদের কোনও কথা বলতে দেওয়া হয় না, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হয় না। কিছু বললেই লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় নয়তো ইডি-সিবিআইকে লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশ এখন একনায়কতন্ত্রের অধীনে এবং গণতন্ত্র মারা গিয়েছে।
পাশাপাশি এদিন মোদি-শাহকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি। রাহুল বলেন, ওরা ভেবেছে, আমরা ভয়ে চুপ করে যাবে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের এটাই কাজ। জেনে রাখুন, আমি মোদিকে ভয় পাই না। দেশে গণতন্ত্র আজ সংকটের মুখে। সেই গণতন্ত্রকে বাঁচানো এবং রক্ষা করার জন্য কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই জারি থাকবে।
গান্ধী পরিবারের উপর আক্রমণ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রাহুল। তাঁর কথায়, গান্ধী পরিবার নির্দিষ্ট নীতি-আদর্শ নিয়ে লড়ে বলেই, তাদের উপর আক্রমণ নেমে আসে। মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার-সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে আজ দিল্লির পথে নামছে কংগ্রেস।
Be the first to comment