মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল চীন। চীনের তরফ থেকে এক সরকারি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে শুক্রবার। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনও বৈঠকও তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে চীন।
এখানেই শেষ নয়, সামরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে যে সব আলোচনা করার কথা ছিল চীনের, তাতেও দাঁড়ি টেনে দিয়েছে ওই কমিউনিস্ট দেশ। এর ফলে দুদেশের সম্পর্ক প্রায় রাতারাতিই খুব তিক্ত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। এই আবহে চীন যেভাবে তাইওয়ানের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করেছে, তাতেও নানা আশঙ্কা বাড়ছে।
তাদের হুমকি উপেক্ষা করেই ন্যান্সির তাইওয়ান সফরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ চীন। আগেই তারা ঘোষণা করেছিল, ন্যান্সি তাইওয়ান সফর করলে তার পরিণতি হবে মারাত্মক। সেই চীনা হুমকিকে পাত্তা না দিয়েই কয়েক ঘণ্টার জন্য তাইওয়ানের মাটিতে পা রাখেন মার্কিন প্রশাসনের দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ন্যান্সি পেলোসি। তারপর থেকেই রেগে রয়েছে চীন। তড়িঘড়ি তারা ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করেছে।
চীনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। তা আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কথা ছিল সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনারও। তাও এখন ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য, চীন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি চীন যেভাবে তাইওয়ানকে ঘিরে রাতারাতি সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে, তা ঠিক নয়। তাপমাত্রা এবং উত্তেজনা বেশ বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, চীনের আগ্রাসী ভূমিকা বন্ধ হলেই উত্তেজনা কমে যাবে।
Be the first to comment