এবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কীভাবে? আবেদনে এই প্রশ্ন তোলা হয়। মামলাকারী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ১৯ জন নেতা, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া এই মামলায় ইডিকে পার্টি করার আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মামলার শুনানি।
বিপ্লব কুমার চৌধুরীর আবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ করে দেখা গিয়েছে, একেকজনের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তির যে পরিমাণ দেখানো হয়েছিল, পরবর্তী ১০ বছরের তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে এই বৃদ্ধি? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আবেদনে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, অমিত মিত্র, অর্জুন সিং, ব্রাত্য বসু-সহ একাধিক হেভিওয়েটের।
মামলাকারীর আবেদনে কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি নেতাদেরও নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডেরও। এছাড়াও নাম রয়েছে –
- জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
- মলয় ঘটক
- গৌতম দেব
- ইকবাল আহমেদ
- ফিরহাদ হাকিম
- স্বর্ণকমল সাহা
- ব্রাত্য বসু
- জাভেদ খান
- অরূপ রায়
- আবদুর রেজ্জাক মোল্লা
- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
- সব্যসাচী দত্ত
- শিউলি সাহা
- বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
যেহেতু বিষয়টি সম্পত্তি নিয়ে, তাই এই মামলায় এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ মেনে মামলাকারী ইডিকে চিঠি পাঠাবেন। পরবর্তী শুনানিতে ইডি নিজের ভূমিকা স্পষ্ট করবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেসব পার্থ ঘনিষ্ঠরাই তাঁর বাড়িতে রেখেছেন বলে দাবি ছিল অর্পিতার। এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সঙ্গে মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। তার তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এবার অন্যান্য মন্ত্রী, নেতাদেরও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের সুবিধার্থে উচ্চ আদালতের ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ যথোপযুক্ত, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment