বিজেপি-র সঙ্গ ছাড়ার পর কথা ছিল বিকেল চারটেয় রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি ৷ কথামতোই মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতিশ কুমার ৷ ইস্তফাপত্র তুলে দিলেন রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের হাতে ৷ এদিন রাজভবন যাত্রায় নীতীশের সঙ্গী হয়েছিলেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব ৷ রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়ে নীতীশ জানান, দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়করাই চাইছিলেন বিজেপির সঙ্গে আঁতাত ভেঙে বেরিয়ে আসতে ৷
ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছি ৷ এনডিএ-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে এসেছি ৷ সাংসদ-বিধায়কদের ইচ্ছেতেই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি আমরা ৷” যদিও দলের সাংসদদের সঙ্গে পরামর্শ করেই চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নীতীশ ৷ আরজেডি-র সঙ্গে জনতা দল ইউনাইটেডের নয়া আঁতাতকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও ৷ শুধু তাই নয়, শীঘ্রই নয়াদিল্লিতে সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন নীতিশ ৷
আগামিদিনে বিহারের ক্ষমতায় আসীন হতে চলা মহাগঠবন্ধনের প্রধান দুই মুখ নীতিশ কুমার এবং লালু-পুত্র তেজস্বী দলের সাংসদ-বিধায়কদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চলেছেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ৷ এই মহাগঠবন্ধনের শরিক হতে চলেছে বামেরাও ৷ সূত্রের খবর, বিধানসভায় স্পিকার-সহ ৩-৪টি মন্ত্রীত্বের পদ চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে কংগ্রেস ৷
বিভিন্ন বিষয়ে গত কয়েকমাস ধরে বিজেপির বিরুদ্ধাচরণ করে চলেছিলেন নীতীশ। অসুস্থতার অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকেও হাজির থাকেননি তিনি। সম্প্রতি আরসিপি সিংকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা নিয়ে পদ্ম শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে জেডিইউ-য়ের ৷ তারই পরিণতি এই বিচ্ছেদ ৷ সবমিলিয়ে আরজেডি জেডিইউ এবং কংগ্রেস জোট ম্যাজিক ফিগারের (সরকার গঠনের) তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ৷ আর সম্ভাবনায় সিলমোহর পড়লে বিহারে ক্ষমতা হাতছাড়া হবে বিজেপি-র ৷ যা চব্বিশের আগে বড়সড় ধাক্কা।
Be the first to comment