জিম করতে করতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে যুবতী। বুকে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে অজ্ঞান হয়ে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ওই যুবতির নাম ঋত্বিকা দাস। বাড়ি বাঁশদ্রোণীর নিরঞ্জন পল্লীতে। নেতাজি নগর মহিলা কলেজে তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বিগত কয়েক মাস ধরেই জিম করছে। এদিন বিকেল প্রায় ৪ টে ১৫ মিনিট নাগাদ জিম করতে যায় যুবতী। সেখানেই বান্ধবী মেঘা হালদারকে জানায় তাঁর বুকে ব্যথা করছে। কিছুটা জল খায়। কিছুক্ষণ পর ওয়ার্ম আপ শুরু করে।
এদিকে যুবতীর এদিন অ্যারাবিকস ক্লাস ছিল। সেই ক্লাস শুরু হওয়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় যুবতী। বান্ধবী মেঘা জানিয়েছে, তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও জ্ঞান ফেরেনি। এরপর বিকেল ৫ টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত যুবতীর পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়, জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ঋত্বিকার মা জানিয়েছেন, মেয়ের থায়রয়েড ছাড়া আর কোনও সমস্যা ছিল না। যখন একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন একবার পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসক বলেছিলেন, গ্যাসের সমস্যা। তারপর আর কোনও সমস্যা হয়নি। এদিন জিমে যাওয়ার আগে দুপুরে বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই খাওয়া দাওয়া করেছিল বাড়ির একমাত্র সন্তান ঋত্বিকা।
মৃতার বান্ধবী মেঘা হালদার জানিয়েছেন, “জিমে আসার পরই বলছিল, বুক ব্যথা করছিল। তখন আমি জানতে চাইলাম, কেন এল? বলল, ‘যেদিন অ্যারোবিক্স হয় সেদিনই বুকে ব্যথা করে’। ৪.২০ নাগাদ অ্যারোবিক্স শুরু হয়। অ্যারোবিক্স শুরু হওয়ার দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।” মঙ্গলবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জিম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।
Be the first to comment