অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি তৃণমূল কংগ্রেসের। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়ে দিল দল। শুক্রবার সিবিআই গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করে কেষ্টকে। পরে তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করে জানায় দল কোনওরকম দুর্নীতিকে সমর্থন করে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে দল কারও পাশে দাঁড়াবে না বলেও স্পষ্ট করেন দলের মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানান, অনুব্রত বিষয় যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যে ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ভূমিকা পালন করছে তার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
এদিন তৃণমূল জানায়, শনিবার এবং রবিবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ভূমিকা পালন করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামবে দলের ছাত্র নেতারা। দলের তরফ থেকে এদিন ফের একবার স্পষ্ট করা হয়েছে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সে যত বড় নেতাই হোন তাঁকে সমর্থন করবে না তৃণমূল। কিন্তু, তদন্ত সবার ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিত সেই কথা বলে ঘাসফুলের দাবি শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সারদা এবং নারোদা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু, কেন এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
পাশাপাশি, বাম এবং কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি তৃণমূল। বাম আমলে যে দুর্নীতি সামনে এসেছিল তার কথা ফের একবার মনে করিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, তৃণমূল-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নীতি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যে সিপিএম এবং কংগ্রেস আজ বড় বড় দাবি তুলছে তাদের আমলে কী হয়েছে সেটা মানুষ জানেন। বামেদের মুখে দুর্নীতি নিয়ে কথা শোভা পায় না বলেও কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা।
তাঁর আরও অভিযোগ, বিরোধীদের উপর-বিরোধীদের কণ্ঠস্বর রোধ করতে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি।
Be the first to comment