প্রখ্যাত লেখক সলমন রুশদিকে হত্যার চেষ্টার পিছনে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান। মুসলিম ধর্মবিশ্বাস ও ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’এর বিতর্কিত লেখক রুশদিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ইরানের ধর্মগুরু আয়াতুল্লা খোমেইনি। এই ঘটনার পর প্রায় ৩ দশক ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রুশদি। কিন্তু, গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তাঁর উপর হামলা চালায় এক যুবক। মারাত্মকভাবে জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যান রুশদি। তারপর থেকেই মুসলিম কট্টরপন্থী বিশেষত ইরানের দিকে আঙুল তোলে পশ্চিমী দুনিয়া। কয়েকদিন মৌনব্রত পালন করার পর অবশেষে ইরান জানিয়ে দিল, রুশদিকে হামলার পিছনে তেহরানের কোনও হাত নেই।
ইরানের বিদেশ মন্ত্রের মুখপাত্র নাসির কানানি সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, রুশদিকে হত্যার চেষ্টায় তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখযোগ্য রুশদির উপর হামলার পর এই প্রথম সরকারিভাবে মুখ খুলল তেহরান। নাসির বলেন, আমেরিকায় লেখকের উপর যে হামলা হয়েছে, তাতে রুশদি কিংবা সমর্থকরা ছাড়া আর কারও আমাদের আঙুল তোলার অধিকার নেই।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত লেখক সলমন রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি এখন কথা বলতে পারছেন। এমনকী ঠাট্টাতামাশাও করছেন। তাঁর বন্ধু লেখক আতিশ তাসির টুইটে লিখেছেন রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলিও একথা জানালেও এর বিস্তারিত কিছু বলেননি। অন্যদিকে, তাঁর উপর হামলা চালানো ২৪ বছরের যুবক হাদি মাতর তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে কোনও অপরাধ করেননি বলে আর্জি জানিয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা রুজু হয়েছে।
Be the first to comment