বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার শরীরী ভাষায় বদল। মঙ্গলবার নিউ আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ঢোকার আগে কার্যত স্বমেজাজে ধরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমের ছুঁড়ে দেওয়া একটি প্রশ্নেরও জবাব দিলেন না তিনি। সরিয়ে দিলেন সংবাদমাধ্যমের মাইক্রোফোন। তৃণমূলের জেলা সভাপতির চোখ-মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তিনি বিরক্ত।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলকে। বীরভূমে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অন্তত তাঁর শরীরী ভাষা তেমনই বলছিল। দিন দুয়েক আগে থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কেষ্ট’র পাশে দাঁড়ান। বলেন, কী করেছিল কেষ্ট? কেন গ্রেপ্তার করা হল ওঁকে? তারপর থেকেই অনুব্রত হাবভাবে বদল আসতে শুরু করে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। অনুব্রত আইনজীবী দাবি করেছেন, দলনেত্রী পাশে থাকায় খুশি কেষ্ট।
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বের করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিউ আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর পর একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি তাঁকে ঘিরে ধরে। জবাবর আশায় বাড়িয়ে দেন বুম। ছুঁড়ে দেওয়া হয় একাধিক প্রশ্ন- গরু পাচার কাণ্ডে মেয়ের ভূমিকা কী? প্রশ্ন শুনেই কার্যত কটমট করে সংবাদকর্মীদের দিকে তাকান তিনি। উত্তরের সমস্ত আশায় জল ঢেলে মুখের উপর সটান জানিয়ে দেন.”কিচ্ছু বলব না। খুশি? কার্যত সেই পুরনো মেজাজে ছিলেন অনুব্রত। কোথায় সেই হতাশা, কোথায় গ্রেপ্তারির পর ভেঙে পড়া মনোভাব!
রবিবার বেহালা থেকে অনুব্রতর গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন তিনি। আর দলনেত্রীর এই বার্তা পেয়েই আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল। আইনজীবীকে জানিয়েছেন, “জানতাম দিদি পাশে থাকবেন।” কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তিনি কিচ্ছু বলবেন না, তা এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
Be the first to comment