এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার বেলা ১২ টা বেজে ১৭ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছন মণ্ডল বাড়িতে। জানা গিয়েছে, একাধিক নথি সঙ্গে নিয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু জেরার মুখোমুখি হতে রাজি হননি সুকন্যা।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করার পরই তাঁর সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। তখনই উঠে আসে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি ও কোম্পানির হদিশ মেলে। পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যার এত সম্পত্তি এল কোথা থেকে, তা জানতে তাঁকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। বুধবার সকালে প্রথমে অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সোজা উঠে যান দোতলায়। সেখানে ছিলেন সুকন্যা। মিনিট দশেকের মধ্যে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজি হননি সুকন্যা। তিনি জানান, “বাবা হেফাজতে রয়েছেন, সদ্যই মাকে হারিয়েছি। তাই এখন কোনও কথা বলব না।” সেই কারণে ১০ মিনিটের মধ্যেই মণ্ডল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এখন নজর সেদিকেই।
প্রসঙ্গত, তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে একাধিক কোম্পানির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে একটি নীর ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানির ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণ নামে এক সরকারি কর্মী। নগদ ও বিনা বন্ধকে এই কোম্পানিতে ঋণ হিসাবে টাকা আসত বলে খবর। সুকন্যার কোম্পানিতে এভাবেই চার বছর আগে এসেছিল চার কোটি ২ লক্ষ টাকা।
Be the first to comment