‘আমি তো জানতামই না, এই প্রথম শুনলাম’, অনুব্রত-কন্যার চাকরি নিয়ে প্রশ্ন করতেই আকাশ থেকে পড়লেন ব্রাত্য!

Spread the love

প্রাথমিক শিক্ষক অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার আদালতে সুকন্যার চাকরি নিয়েই নানা বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে। তাঁর দাবি টেট পাশ না করেই প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন সুকান্য়া। তাঁর আরও দাবি স্কুলে যেতেন না সুকন্যা। উল্টে তাঁকে সই করানোর জন্য রেজিস্ট্রার আসত বাড়িতে। তবে অনুব্রতর মেয়ে যে স্কুল পড়ান তা জানতেনই না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সুকন্যা মণ্ডলের চাকরির বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ব্রাত্য বলেন, “আমি তো জানতামই না। এই প্রথম শুনলাম। উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। এখন খোঁজ নিয়ে দেখি কী অবস্থা।” 

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পর থেকে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে দিন কাটছে অনুব্রত মণ্ডলের। তবে সুকন্যার সম্পত্তির উপরেও নজর রেখেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলের নামে দুটি সংস্থার কথা আগেই সামনে এনেছিল টিভি নাইন বাংলা। এই সংস্থাগুলিতে প্রচুর অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছিল বলেও জানা যায়। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, মেয়েকে ব্যবহার করে এই গোটা কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন অনুব্রত। এবার নজরে তাঁর শিক্ষকতার চাকরি। 

সুকন্যা মণ্ডল বীরভূমের বোলপুরের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর সেই নিয়োগেই উঠেছে বেনিয়মের অভিযোগ। এ বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে নানা নথি জমা দিয়েছেন। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। এদিকে এর আগে বেনিয়মে নিয়োগের অভিযোগে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। ববিতা আদালতে যে মামলা করেছিলেন তারও আইনজীবী ছিলেন ফিরদৌস শামিম।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*