মেয়ে টেট পাশ, সার্টিফিকেট আছে, নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুব্রত

Spread the love

বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে কলকাতা হাই কোর্টে তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ বলেই দাবি তাঁর।

নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, আপনার মেয়েকে আদালত ডেকেছে, কী বলবেন? জবাব দিতে গিয়ে কিছুটা মেজাজ হারান দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, যা বলার কোর্ট বলবে। আপনি কোন হরিদাস পাল? পরে যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, মেয়ে পাশ করা। সার্টিফিকেট আছে। চিন্তা নেই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনুব্রতকন্যাকে তলব করেছেন। এ প্রসঙ্গেও বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, তলব করেননি। নথি জমা দিতে বলেছেন। কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে যাওয়ার পথে নিজেকে কিছুটা ‘অসুস্থ’ বলেই দাবি করেন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত। তিনি বলেন, সারাদিনে ৩২-৩৩টি ওষুধ খেতে হয়। বুকে চাপ আছে।

উল্লেখ্য, বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা মণ্ডল। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম হাই কোর্টে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর দাবি, টেট পাশ না করেই স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতকন্যা। কোনওদিন বিদ্যালয়ে যাননি। হাজিরা খাতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হত। বাড়িতে বসে ওই খাতায় সই করতেন সুকন্যা। অনুব্রতর মেয়ে-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধেও হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, আপ্তসহায়ক অর্ক দত্ত, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল, তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদিও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের সকলকে টেট পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে হাই কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

হাই কোর্টের নির্দেশের পর বুধবার সন্ধেয় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বেরতে দেখা যায় অনুব্রতকন্যাকে। সকলেই প্রায় ভেবেছিলেন কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন সুকন্যা। তবে পরে জানা যায়, রাতে কলকাতায় পৌঁছননি তিনি। পরিবর্তে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় পৌঁছন অনুব্রতকন্যা। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ চিনার পার্কে বাড়ি থেকে ফের বেরতেও দেখা যায় তাঁকে। তারপরই সময় মত পৌঁছে যান হাইকোর্টে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*