দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী। শ্রী কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীতে কোভিড বিধি মেনেই ভারতের সমস্ত জনপ্রিয় মন্দিরে পূজিত হচ্ছেন তিনি। মথুরা থেকে এ রাজ্যের মায়াপুর ইসকনের সকাল থেকেই জন্মাষ্টমীর জন্য পুজো এবং সংকীর্তনে মেতে উঠেছেন ভক্তবৃন্দরা । নানাবিধ ফলমুল থেকে শুরু করে মিষ্টি পায়েস ক্ষীর সবকিছুর আয়োজন হয়েছে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে। যদিও মূল অভিষেক মধ্যরাত্রি অর্থাৎ রাত বারোটার কিছু আগে শুরু হবে।
তখন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে স্নান করানো হবে কৃষ্ণকে। তাঁর মূর্তিতে ঘি, চন্দন, দুধ গঙ্গাজল দিয়ে কৃষ্ণের অভিষেক জন্মাষ্টমী পালন হবে। এই মুহূর্তে সকাল থেকে সাজে সাজে রব ইসকন মায়াপুর জুড়ে, ইতিমধ্যেই বহু ভক্ত দর্শনার্থী হাজির হয়েছেন ইসকন মায়াপুরের জন্মাষ্টমীর উৎসব দেখতে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আবহের পর ভক্তরা আবারও জন্মাষ্টমীর উৎসবে মেতে উঠেছে। নিয়ম মেনে দূরত্ববিধি বজায় রেখে জন্মাষ্টমী পালন হচ্ছে মায়াপুরে। গত দু’বছরের তুলনায় ভক্তবৃন্দের সংখ্যাও বেশি এ বছর। একই ছবি ইসকনেও। সকাল থেকেই ভিড় সাধারণের।
আর অন্যদিকে, জন্মাষ্টমীর ভোরে বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। প্রথা অনুযায়ী প্রতি জন্মাষ্টমীর সকালে দেবী দুর্গার কাঠামো পুজো এবং মন্ডপের খুঁটি পূজার শুভারম্ভ হয় এই দিনটিতে। গত দু’বছর করোনার কারণে মহা পুজোর সমারোহে খামতি থাকলেও এ বছর সব সুদে আসলে উসুল করে নিচ্ছে বেলুড় মঠ।
এদিন ভোরে মূল মন্দিরে মঙ্গল আরোতির পর মন্দিরের ভিতরে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূর্তির পাশেই শুরু হয় কাঠামো পুজো। ফুল ধুপ বৈদিক মন্ত্রাচরণ সন্ন্যাসীদের সমবেত প্রার্থনা দিয়ে দেবীর কাঠামোকে পূজা করা হয়। বস্তুতপক্ষে দেবীর এটি স্থায়ী কাঠামো । প্রতিবার দশমীতে গঙ্গায় বিসর্জিত হওয়ার পর সেটি গঙ্গা থেকে তুলে এনে রাখা হয় এবং সেটিতেই দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়। এক কথায় আজ থেকেই বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।
Be the first to comment