আবগারি নীতি মামলায় আরও বিপাকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। দুদিন আগেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এফআইআরেও সিসোদিয়া সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। এবার তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হল লুকআউট নোটিস। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া যাতে তদন্ত চলাকালীন বিদেশে যেতে না পারেন, তার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে।
রবিবার সকালেই সিবিআইয়ের তরফে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। তিনি ছাড়াও সিবিআইয়ের এফআইআরে যে ১৩ জনের নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সকলকেই জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন বিনা অনুমতিতে তাঁরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। যদি কেউ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন, তবে তাদের আটক করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
গতবছর দিল্লি সরকারের তরফে যে আবগারি নীতি আনা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনার নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। শুক্রবারই এই মামলার তদন্তে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক পণ্য ও প্রচুর নথি।
সিবিআইয়ের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে প্রথমেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম রয়েছে। তিনি ছাড়াও মোট ১৪ জনের নাম রয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরে। অভিযোগ, বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই নতুন আবগারি নীতি আনা হয়েছিল। এই নীতি তৈরিতে সরকারের অংশ নন, এমন ব্যক্তিদেরও মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং বোইনিভাবে অনেককে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর অনুযায়ী, কমপক্ষে দুইবার মণীশ সিসোদিয়া কোটি টাকারও বেশি অর্থ পেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের হাত থেকে। এই টাকা বেআইনিভাবে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার সিবিআইয়ের তরফে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে সমন পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সূত্রের খবর, যাদের সমন পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ।
Be the first to comment