ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার বিরোধিতা করে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

Howrah: West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee inaugurates a community Durga puja pandal at Howrah district of West Bengal on Friday,October 12,2018. (PTI Photo) (PTI10_12_2018_1000177B)
Spread the love

কোষাগারের অর্থাভাবে রাজ্যের কর্মচারিদের প্রাপ্য ডিএ দেওয়া যাচ্ছেন না। কেন্দ্রের প্রচুর বকেয়া বাকি রয়েছে বলেও প্রায়শই অভিযোগ করা হয় রাজ্যের তরফে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর জন্য় ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। রাজ্যের ৪০ হাজারেরও বেশি দুর্গাপুজো কমিটিতে এই অনুদান দিতে খরচ হবে কোটি কোটি টাকা। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবীরা।

দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়ার বিরোধিতা করে বুধবার দায়ের হয়েছে মামলা। আইনজীবীদের সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের অনুমতি চেয়েছিল। আদলত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। মামলাকারী আইনজীবীরা এ বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান আদালতে। দ্রুত শুনানির বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। দুর্গাপুজোয় পুজোকমিটিকে অনুদানের বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি আগামী শুক্রবার হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ বছর সেই অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়। প্রত্য়েক পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এক অনুষ্ঠান থেকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুদানের পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলিকে বিভিন্ন ব্যাপারে করছাড়ের কথাও জানান তিনি। এর পরই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধিরা। বাম থেকে বিজেপি- সকলেই সুর চড়িয়েছেন এই ‘খয়রাতি’র বিরুদ্ধে।

প্রত্যেক ক্লাবকে দুর্গাপুজোর জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের ৪০ হাজারের বেশি ক্লাব এই সরকারের অনুদান পেয়ে থাকে। তা দিতে ২৪০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়ে থাকে। এই টাকা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বিরোধিদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন “ভাঁড়ার শূন্য”, কিন্তু খয়রাতি করতে টাকার অভাব হচ্ছে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*