মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা প্রাথমিক, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে রাজ্যে। এবার ফের নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল ব্যাঙ্কে। তমলুক–ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেছেন মামলাকারীরা। সেই হলফনামায় নাম রয়েছে খোদ মন্ত্রী অরূপ রায়ের। মন্ত্রী বা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা পেশ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন কোনও দুর্নীতিই হয়নি।
হলফনামায় অভিযোগ, মোট ৫২ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ব্যাঙ্কের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৩৪ জনের নিয়োগ হয়। অর্থাৎ শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের দাবি, সমবায় মন্ত্রী হিসেবে পরপর দু দফায় অনুমতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। মামলাকারীদের আরও দাবি, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ করা যায় না।
হলফনামায় জানানো হয়েছে, ওই চাকরির জন্য মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন। যে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তাতে ফি-ও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, চাকরির আবেদন না করেও অনেকে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ওই নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এবার সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করা হল আদালতে।
অরূপ রায়কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, হাইকোর্টে কেউ অভিযোগ জানাতেই পারে। তবে এমন কোনও দুর্নীতি হয়নি।তাঁর দাবি, ২০১০ সালে কেন্দ্র এক বিশেষ নিয়ম চালু করেছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও নাবার্ডের সঙ্গে মিলে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বা সার্ভিস কমিশন হস্তক্ষেপ করবে না। ব্যাঙ্কগুলি নিজেরাই নিয়োগ করতে পারবে। পাশাপাশি ঘনিষ্ঠদের নিয়োগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment