ধূলিসাৎ ৪০ তলা টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও!

Spread the love

দুপুর ঠিক আড়াইটে। তিন হাজার কেজি বিস্ফোরকের দাপটে মূহুর্তে মাটিতে মিশে গেল নয়ডার টুইন টাওয়ার। এক পলকে দেখলে মনে হবে কোনও শক্তিশালী বোমা পড়েছে। বিস্ফোরণের পর বিশাল ধোঁয়া ও ধূলোয় ভরে যায় চারদিক।

আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নয়ডায় ২০১৩ সালে তৈরি শুরু হয়েছিল নয়ডার টুইন টাওয়ার। স্থানীয়রা বাধা দিয়েও পেরে ওঠেননি টাওয়ার নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে। বাধ্য হয়েই স্থানীয় এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা দ্বারস্থ হন আদালতের। ওই টুইন টাওয়ারের একটির উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির উচ্চতা ৯৭ মিটার। কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু ওই টুইট টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। কেন ভেঙে ফেলার নির্দেশ? টাওয়ার দুটি তৈরির সময় নির্মাণের নিয়ম মেনে চলা হয়নি। টাওয়ার দুটি তোলার নিয়ম ছিল কমপক্ষে ১৮ মিটার দূরে। কিন্তু দেখা যায় টাওয়ার দুটির মধ্যেকার দূরত্ব মাত্র ৯ মিটার।

আদালতের নির্দেশের পর সেটি ভেঙে ফেলতে বিস্ফোরক ব্য়বহার করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ৩ হাজার কেজিরও বেশি বিস্ফোরক। হরিয়ানা থেকে ওই বিস্ফোরক এনে তা লাগিয়ে দেওয়া হয় ভবন দুটির বিভিন্ন জায়গায়। আসপাশের বাসিন্দাদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশের বেশ কয়েকটি ভবন ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধোঁয়াশা বন্দুক, ১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক, আর কর্মীদের জন্য ৬টি যান্ত্রিক সুইপিং মেশিন আনা হয়েছে। ১৫০ সাফাই কর্মী এই দিন একসঙ্গে কাজ করবেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যা সরাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে। এমেরাল্ড কোর্টের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা এবং সেক্টর 93A এর পার্শ্ববর্তী ATS ভিলেজ সোসাইটিগুলিকে আজ সকাল ৭ টার মধ্যে তাদের জায়গা খালি করতে বলা হয়েছে। ভবনটি ভেঙে পড়তে ৯ সেকেন্ড সময় লাগতে পারবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*