রবিবার দুবাইতে ভারত-পাক ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। তিনি ভারতের জয়ের পর জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। সকালেই এই নিয়ে টুইট করে তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, জয় শাহর কাজ শাসকদলের ‘বৃহত্তম ভন্ডামী’র উদাহরণ। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন সভা থেকেও এই বিষয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করেন, দেশের পতাকা হাতে নিতে নারাজ ছেলেকে ‘ত্যাজ্যপুত্র’ করে দেখান।
উল্লেখ্য, ভাইরাল হয়েছে এশিয়া কাপে গ্যালারিতে উপস্থিত জয় শাহর জাতীয় পতাকা হাতে নিতে না চাওয়ার ভিডিও। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে একের পর এক তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন, যারা বিদেশের মাটিতে ভারতের জয়ের পর জাতীয় পতাকা হাতে নিতে লজ্জা পায়, তাদের কাছ থেকে দেশাত্মবোধ শিখতে হবে? দেশকে ভালবাসার সার্টিফিকেট নিতে হবে? বাংলা যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পীঠস্থান, গেরুয়া শিবিরকে সেকথাও মনে করিয়ে দেন।
জয় শাহর প্রসঙ্গে মোদির পরিবারতন্ত্র খোঁচার জবাব দেন তৃণমূল নেতা। মনে করিয়ে দেন, যে কোনওদিন ব্যাট ধরেনি, বল করেনি সে বোর্ডের সচিব! কীভাবে? এরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ- বিদেশের মাটিতে যে দেশের পতাকা হাতে নিতে লজ্জা পায়, এমন ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করে দেখান। অভিষেক অভিযোগ করেন, আসলে জয় শাহর কাছে দেশ আগে নয়। বরং পদ ও পরিবার আগে। ‘কুলাঙ্গার ছেলে’কে বরখাস্ত করুক বিসিসিআই, দাবি করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মিডিয়াকেও তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জয় শাহর জাতীয় পতাকার অবমাননা প্রসঙ্গ টিভিতে দেখানো হবে না বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
সকালে একই বিষয়ে টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “উড়নচণ্ডী রাজার জাতীয় পতাকার গর্ব সম্পর্কে ধারনা নেই।” জয় শাহকে ট্যাগ করে অভিষেকের কটাক্ষ করেছিলেন, “জাতীয় পতাকা ধরতে না চাওয়া শাসকগোষ্ঠীর বৃহত্তম ভন্ডামীর উদাহরণ। ওরা নাটুকে, মূল্যবোধহীন, জুমলা নির্ভর, আদৌ দেশাত্মবোধ নেই।” মঞ্চের ভাষণেও একই সুর বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা।
Be the first to comment