অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে আটক করল সিবিআই। বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে নিয়ে যায় সিবিআই। বাড়িতে খানাতল্লাশির আটক করা হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, বিশ্বজ্যোতি অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ, একপ্রকারের ছায়াসঙ্গী। এবারও পুরনির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানেই প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিলেন। দলের কাজের পাশাপাশি দিনের বেশির ভাগ সময়ে অনুব্রতর বাড়িতেই থাকতেন তিনি। তাঁর ব্যবসার একাধিক বিষয়ে দেখভালও করতেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রতর ব্যবসা-কারবার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে, তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আপাতত তাঁকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার কাকভোরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢোকে সিবিআই। প্রাথমিকভাবে আকস্মিক এই অভিযানের ‘মোটিভ’ বোঝা যাচ্ছিল না। অর্থাৎ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নাকি অনুব্রত ইস্যুতে তল্লাশি, তা নিয়েই ধোঁয়াশা ছিল। প্রথমেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ঢোকেন বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে। পাশাপাশি সুদীপ রায়, তিনি আবার কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতির ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী, তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলে। মনীশ কোঠারি, অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বোলপুরের ব্যবসায়ী সুজিত দে’র বাড়িতে তল্লাশি চলছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিশ্বজ্যোতিকে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে কেন তাঁকে আটক করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, একটিও উত্তর দেননি বিশ্বজ্যোতি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। পরনে সাদা টি শার্ট, মুখে মাস্ক পরে মাথা নীচু করেই সিবিআই-এর গাড়িতে ওঠেন তিনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, গরু পাচার সংক্রান্ত তথা রাইস মিল নিয়েও বেশ কিছু তথ্য উঠে আসবে এই কাউন্সিলররের কাছ থেকেই। উল্লেখ্য, এর আগেও বোলপুরের একাধিক রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এখনও পর্যন্ত বাকিদের বাড়িতে তল্লাশি চলছে।
Be the first to comment