গরু পাচার মামলা, সদ্য সিবিআইয়ের হাতে ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। খবরে এখনও তা হেডলাইন। এমন আবহে গরু চুরির মামলার কিনারা করল এ রাজ্যের পুলিশ! একের পরে গরু চুরির অভিযোগের তদন্তে নেমে ছয় জনকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানা এলাকার বালিচক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ভিতরে তোলা হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই গরু চুরির খবর আসছিল। তা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগও জমা পড়ে জেলার বিভিন্ন থানায়। লাগাতার অভিযোগে কপালে ভাঁজ পড়ে পুলিশকর্তাদের কপালে। শেষমেশ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয় নিজস্ব স্পেশ্যাল টিম। তদন্তি নেমে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অবশেষে সাফল্য পেল জেলা পুলিশের সিট।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচকের বিশেষ অভিযানে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাঁকুড়ার পতনপুর সাতনা গোপাল সদর থানায় গরু চুরির বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ে। জেলা পুলিশের তৈরি স্পেশাল টিম বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে চুরির বিষয়ে। তদন্তে তারা জানতে পারেন, দুষ্কৃতীর নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি জেলাতেও। কারণ এই সমস্ত এলাকাতেও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। তদন্তে আরও জানা যায়, দলটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার। এরপর শুরু হয় তাদের পাকড়াও করার জন্য জাল পাতার কাজ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশেষ তদন্তকারী দলটি অভিযান চালায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা দাসপুর এলাকায়। সেখান থেকে ধৃত ছয়জনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। মূলত এদের কাজ ছিল, রাতের অন্ধকারে বাঁকুড়া সহ সংলগ্ন জেলাগুলির থেকে গরু চুরি করা। পরে তা বিক্রি করা হতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বাজারে। পুলিশ জানিয়েছে, দলটিতে আরও কোনও সদস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই ধৃতদের নিজের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
Be the first to comment