২০১০ সালের মঙ্গলকোটের অশান্তি মামলায় বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূল নেতা। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার মামলার শুনানি। তবে ওইদিন আর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না এই মামলায় নাম জড়ানো কাউকেই। ভারচুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন সকলে।
গত ২০১০ সালের ৫ মার্চ মঙ্গলকোটের লাখুরিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। তাতে কেবুলাল শেখ নামে এক ব্যক্তি জখম হন। এই ঘটনায় চার্জশিট দেয় মঙ্গলকোট থানা। তাতেই অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, কাজল শেখ-সহ ১৫ জনের নাম ছিল। এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় অনুব্রতকে। বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বেরন অনুব্রত মণ্ডল। প্রিজন ভ্যানের পরিবর্তে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চড়ে কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। আদালত থেকে বেরনোর সময় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কথা বলেন অনুব্রত। বলেন, “ব্যাপক হবে।” শরীর ভাল নেই বলেও দাবি করেন দাপুটে তৃণমূল নেতা। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে এক চা বিক্রেতা ‘গরু চোর’ বলে স্লোগান দেন। এরপর কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। মাঝে হুগলির সিঙ্গুরের রতনপুরে গাড়ি থামানো হয়। রাধাবল্লভী, ২টি ডিম সেদ্ধ এবং মাটির ভাঁড়ে চা খান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতের সামনে অবশ্য মেজাজ হারান তিনি। অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে বলেন, “তলব করা হয়েছে তো কী নাচব?”
গত ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জালে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তৃণমূল নেতার প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের প্রায় পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। সিবিআইয়ের নজরে বোলপুরের কমপক্ষে ১০টি রাইস মিল। ভোলে ব্যোম, শিব শম্ভু চাল কলে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ভোলে ব্যোম রাইস মিল থেকে মোট ৬টি গাড়ি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিপুল সম্পত্তির উৎসের খোঁজে সিবিআই। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে। তার আগে তথ্যের খোঁজে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে জেরা করে সিবিআই।
Be the first to comment