আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে কুণাল ঘোষ। ‘সীতার পাতালপ্রবেশ’ মন্তব্য সংক্রান্ত তিন মামলায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে আর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না ত্রিপুরার আদালতে। শনিবার কুণালের আইনজীবীর আরজি মেনে এই নির্দেশ দিলেন বিচারক। পাশাপাশি চার্জশিট তৈরিতে আইন না মানায় এই মামলায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনও আটকে গেল।
এদিন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা দাসের এজলাসে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা ছিল। তৃণমূলের মুখপাত্র নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এদিন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী পিটিশন দিয়ে বলেন, যে ধারাগুলিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি ধারায় আইন না মেনে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এর উপর দাঁড়িয়ে চার্জ গঠন করা যায় না। সরকারি আইনজীবীও মেনে নেন চার্জশিটে আইনের নির্দেশ মানা হয়নি। ফলে দীর্ঘ শুনানির পর আটকে যায় চার্জগঠন। বিচারক মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন।
এদিন আইনজীবীদের আরজিতে সাড়া দিয়ে তিনটি মামলায় কুণালকে সশরীরে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরেই পরের শুনানির দিন কুণালকে আর ত্রিপুরায় যেতে হবে না।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল এদিন বলেন, “সীতার পাতালপ্রবেশ সবাই জানেন। আমি জনমদুঃখিনী সীতামায়ের কথা বলে কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আক্রমণ করত বলেই আমি কথা প্রসঙ্গে বিষয়টা তুলেছিলাম। রাজনীতিতে ধর্ম জড়ানো কখনই উচিত নয়। রামের নামে সন্ত্রাস করেছিল বলেই আমি মা সীতার পরিণতির কথা বলেছিলাম।” এরপর কুণাল অমরপুর পার্টি অফিসে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেলে আগরতলায় রাজ্যদপ্তরে যাওয়ার কথা তাঁর।
Be the first to comment