রাজ্য সরকার ঋণে ডুবে আছে। ক্ষমতায় আসার পর প্রথম থেকেই এ কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার ফের মমতা দাবি করলেন, রাজ্যের কোষাগারের কথা চিন্তা করে রাতে ঘুম আসে না তাঁরা। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে কী ভাবে বিভিন্ন স্কিমের টাকা দিচ্ছে, সে কথাই উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শিক্ষক দিবসের বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে এসে মমতা বলেন, ‘রাতে ঘুম হয় না, মনে হয় ১০০ দিনের টাকা দিতে পারব তো, ট্রেজারিতে টাকা আছে তো?’
এ দিন তিনি আরও উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গকে অন্য রাজ্যের সঙ্গে কুলনা করলে চলবে না। দিল্লির একটা পুরসভার মতো রাজ্য বলে দাবি করেন মমতা। উল্লেখ করেন, তেলঙ্গানার মতো নতুন রাজ্যের কথা, যাদের কোনও ঋণ নেই। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গ হল এমন একটা রাজ্য যেখানে ১১ কোটি মানুষের বাস। এ রাজ্য ইউরোপের চার দেশের সমান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কোষাগারের এমন অবস্থা হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি স্কিমের মাধ্যমে কী ভাবে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, সেই খতিয়ানও এ দিন মঞ্চ থেকে দেন মমতা।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১১ বছরে শুধুমাত্র ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে সাত কোটি টাকা, ১ কোটি ২১ লক্ষ ছেলেমেয়ে পেয়েছে শিক্ষাশ্রীর স্কলারশিপ, কন্যাশ্রীর সুবিধায় পায় ৮০ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ চালু করা হয়েছিল পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ছেলেমেয়েদের জন্য। একই সঙ্গে স্টুডেন্ট স্মার্ট কার্ডের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, একসময় ঋণের জন্য বাবা-মায়ের জুতোর তলা ক্ষয়ে যেত। আর এখন সরকার সেই ঋণের সুবিধা করে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
Be the first to comment