বাগুইআটিতে নিহত দুই ছাত্রের বাড়িতে সুজিত বসু, বাধার মুখে সেলিম-সুজনরা

Spread the love

বাগুইআটিতে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খুনের ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। নিহতের বাড়িতে তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম নেতৃত্বের ভিড়। বুধবার বিকেলে দুই ছাত্রের বাড়িতে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকার এবং সিআইডি’র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রথমে নিহত ছাত্র অতনু দে’র বাড়িতে যান মন্ত্রী সুজিত বসু। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অদিতি মুন্সিও। এরপর অভিষেক নস্করের বাড়িতেও যান দু’জনে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। দ্রুত অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হবে বলেই জানান মন্ত্রী সুজিত বসু।

রাজ্যের মন্ত্রীকে নিহতদের বাড়িতে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন। তবে বিজেপি, কংগ্রেসের পর নিহত ছাত্রদের পরিবারের রোষের মুখে পড়ে সিপিএম নেতৃত্বও। বুধবার সন্ধেয় অভিষেকের বাড়িতে যান সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য। মৃতের ছবিতে মাল্যদানেও বাধা দেওয়া হয় তাঁদের। “রাজনীতি চাইছেন না”, বলেই সাফ জানিয়েও দেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

এদিকে, এদিনই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকারকে ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর নিহত কিশোরদের বাড়িতে যান সিপি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকার বলেন, “সিআইডি ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে। খুব শীঘ্রই মূল অভিযুক্তও গ্রেপ্তার হবে।”

উল্লেখ্য, নিহত অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর, বাগুইআটি হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র। গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়ে যায় দু’জনে। দু’দিন পর বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। মুক্তিপণ চেয়ে একাধিকবার অজানা নম্বর থেকে মেসেজও পান অতনু দে’র বাবা। তা বারবার করে পুলিশকে জানান তিনি। তবে পুলিশ তদন্তে গড়িমসি করে বলেই অভিযোগ। এভাবেই কেটে যায় ১৩ দিন।

গত মঙ্গলবার বসিরহাট পুলিশ জেলা থেকে উদ্ধার হয় অতনু এবং অভিষেকের দেহ। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তাতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব জানান, এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার আইসি-সহ দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হলেন শান্তনু সরকার। এয়ারপোর্ট থানার আইসি ছিলেন তিনি। এবার এয়ারপোর্ট থানার আইসি হলেন সলিল কুমার মণ্ডল। জোড়া হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*