মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরই তৎপর সিআইডি। বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্ত করতে ভাঙড় থানা যায় সিআইডি টিম। বুধবার রাতেই সিআইডির চার জনের প্রতিনিধিদল ভাঙড় থানায় আসে। বাসন্তী হাইওয়ের পাশে যেহেতু মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাই কোন সময়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ভাঙর থানায় রাতেই পৌঁছে যান সিআইডি টিম। থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারও তাঁদের থানার আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাগুইআটি জোড়া খুনের তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই বাগুইআটি থানার ওসিকে কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয়। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দোষীকে খুঁজে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বাগুইআটিতে জোড়া অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ওই থানার ওসি-র কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
হাড়োয়া থেকে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, এই তথ্য ২৩ অগস্টই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সব থানাকেই। খবর পেয়েছিল বাগুইআটি থানাও। দুই ছাত্রের পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে ২৪ অগস্ট। জানানো হয়, ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাঁদের ছেলে। জানা যাচ্ছে, বাগুইআটি থানার পিএসআই দুটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পাওয়ার কথা আইসি ও আইও-কে জানাননি। এখানেই যে অনেকটা ফাঁক থেকে গিয়েছে, তা স্পষ্ট। বুধবার বিকালে সিআইডি-র হাতে তদন্তভার দেয় রাজ্য। রাতেই ভাঙড় থানায় পৌঁছে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহে লেগে পড়েছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার ১৫-১৬ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ লোপাট যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র এখনও পলাতক।
Be the first to comment