নবান্ন অভিযানের মিছিল ভরাতে ট্রেন ভাড়া করছে বিজেপি। জেলার কর্মীদের কলকাতায় আনতে সাতটি ট্রেন ভাড়া করছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে খবর, যার খরচ অন্তত ৫৬ লক্ষ। শুধু কর্মীদের নিয়ে আসবে তাই নয়, মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে আসা এই তিনটি ট্রেন শিয়ালদহে এসে অপেক্ষা করবে। এখান থেকে আবার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ফিরবে উত্তরবঙ্গে। সদ্য দু’কোটি টাকা খরচ করে বৈদিক ভিলেজে প্রশিক্ষণ শিবিরের পর লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে কলকাতায় লোক নিয়ে আসছে বিজেপি।
বিক্ষুব্ধ শিবিরের বক্তব্য, দক্ষিণবঙ্গে সংগঠনের এতটাই বেহাল অবস্থা যে উত্তরবঙ্গ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ট্রেন ভাড়া করে লোক নিয়ে আসতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এভাবে আস্ত ট্রেন ভাড়া করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলের একাংশ। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে খুব বেশি হলে হাজার কুড়ি লোক আনার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। যে উত্তরবঙ্গে শক্তিশালী সংগঠন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা, সেখান থেকে লোক আনার টার্গেট মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার কেন? এমনও প্রশ্ন দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের।
সূত্রের খবর, একটি ট্রেন আসবে আলিপুরদুয়ার থেকে। আরেকটি বালুরঘাট স্টেশন থেকে। অন্য ট্রেনটি ছাড়বে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে। অন্যান্য ট্রেনগুলি আসবে দিঘা, জঙ্গলমহল অঞ্চল থেকে। বিজেপির নবান্ন অভিযানে আলিপুরদুয়ার থেকে স্পেশ্যাল ট্রেন যাত্রা শুরু করবে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে। আবার ১৩ তারিখ অনুষ্ঠান শেষে কামাখ্যাগুড়ি থেকে এই ট্রেন হাসিমারা না কোচবিহার কোন রুটে যাবে তা এখনও ঠিক হয় নি। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার জেলার জন্যই থাকছে এই একটি ট্রেন।
১৮ টি বগি নিয়ে এই ট্রেনের সব কামরাই নন এসি। ট্রেনে যাওয়া প্রত্যেক ২৩ জন পিছু একজন কনভেনর থাকবে। ওই কনভেনরের দায়িত্ব থাকবে এই ২৩ জনকে নিয়ে যাওয়া ও আসা। এই কনভেনরদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন গোটা ট্রেনের দায়িত্বে থাকার চার বিজেপি নেতা। জেলার চার নেতা মিঠু দাস, নারায়ন মণ্ডল, সাধন সাহা ও কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাও। বিজেপির এক নেতা জানান, ট্রেন ভাড়া করার টাকা রাজ্য সংগঠন দেবে। শুনেছি, একটা ট্রেন ভাড়া ৮ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করছে গেরুয়া শিবির।
Be the first to comment