অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রায় বাধা ইডির। শনিবার রাতে ব্যাংকক যাওয়ার পথে তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। অভিবাসন দপ্তর থেকে জানানো হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নাকি তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অভিষেকের শ্যালিকাকে বসিয়ে রাখা হয়। পরে ইডির আধিকারিকরা এসে তাঁকে সমন ধরান। আগামী সপ্তাহে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজায়ও।
শনিবার রাত ন’টার ইন্ডিগোর বিমানে ব্যাঙ্কক যাওয়ার কথা ছিল মেনকা গম্ভীরের। সেই মতো রাত আটটায় তিনি দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। কিন্তু এরপরই বিপত্তি। অভিবাসন দপ্তর থেকে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ইডির নোটিসের জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি। এদিকে মেনকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রার কথা অভিবাসন দপ্তরের তরফে ইমেল করে ইডির সদরদপ্তরে জানানো হয়। আর তাঁকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর ইডির কলকাতার দপ্তরে আধিকারিকরা বিমানবন্দরে এসে তাঁর হাতে নোটিস ধরান। আগামী সপ্তাহে তাঁকে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতেরর এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের সাংসদ শান্তনু সেনের কথায়, “টার্গেট তো মেনকা নন। ওদের আসল টার্গেট অভিষেক। তবে এভাবে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।” বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “নোটিস দেওয়া, বিদেশযাত্রায় আটকানোর মতো চোর পুলিশ খেলা বন্ধ করা হোক। অপরাধীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নিক তদন্তকারীরা।”
কয়লাপাচার মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা অর্থাৎ রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরের। তাঁকে দিল্লিতে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার ফের ইডির নজরে অভিষেকের শ্যালিকা।
Be the first to comment