১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন। সেই অধিবেশনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। সোমবার একথা জানালেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই, ইডি কিংবা আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার অতি সক্রিয়তার অভিযোগকে সামনে রেখে এই নিন্দা প্রস্তাব আনছে সরকার। এই বিষয়ে নোটিসও দিয়েছেন সরকারি দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়ে একটা প্রস্তাব জমা পড়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। বিরোধীরাও বলবে। এই রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। সকলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। রাত হলে এর ওর বাড়ি চলে যাচ্ছে সংস্থাগুলি।
আগামী বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। তার আগে সোমবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, তাপস রায়রা। ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে শোভনদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১৪ তারিখ থেকে। ১৫ তারিখ একটাই বিল আছে। এছাড়া যা যা নিয়ম মেনে হয় সবই থাকবে। ১৯ তারিখ একটা রেজলিউশন আসছে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ১৬৯ ধারা মেনে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে। এই প্রস্তাবটা আসছে, আলোচনা হবে।”
এদিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির যে বৈঠক তাতে বিরোধীদের কারও উপস্থিতি দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে শোভনদেবের মন্তব্য, একটা সময় তৃণমূলও বিরোধী দলে ছিল। অনেক ঝগড়া হয়েছে, অস্বীকারের কোনও জায়গাই নেই। কম আন্দোলন তৃণমূল করেনি। কিন্তু তারপরও গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বসেছেন তৃণমূলের বিধায়করা।
শোভনদেবের সংযোজন, “স্পিকারের সঙ্গেও আমরা কখনও কখনও বিরোধ করেছি। তারপর আবারও স্পিকারের সঙ্গে বসেছি। গণতান্ত্রিক যে মূল্যবোধগুলো আছে, সেগুলি সম্পর্কে বিরোধী দলে যাঁরা এখন আছেন, সেই ধ্যান ধারণা নেই।”
Be the first to comment